সতর্কবাণী!! নারী এই ২টি ভুল কখনো করবেন না ! সকল বোনের জানা উচিত!

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় দর্শক মন্ডলী আশা করি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন। সালাত বা নামাজ আল্লাহ পাকের ইবাদত সমূহের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। সালাত বা নামাজ এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত যা 7 বছর বয়সে ট্রেনিং শুরু হয় এবং 10 বছর বয়সে ফরজ হয় এবং মৃত্যুর এক সেকেন্ড আগ পর্যন্ত ফরজ থাকে। আর এই বিধান নারী-পুরুষ সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। তবে কিছু সময় আছে, যে সময় নারীদের জন্য নামাজ মাফ করা হয়েছে। এবং সে নামাজ ও কিন্তু পরিপূর্ণ মাফ নয়। সাময়িক সময়ের জন্য মাফ। অবশ্যই পড়ে সে নামাজ আদায় করে নিতে হবে। যেমন মহিলারা যখন অপবিত্র থাকে অথবা সন্তান প্রসবের পর পাক হওয়ার আগ পর্যন্ত।
কিন্তু দুই শ্রেণীর নারী আছে যাদের নামাজ আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন কখনোই কবুল করেন না এবং তাদের কোন আমল ঊর্ধ্বমুখী হয় না । তাই আজকের ভিডিওতে আমরা সেই নারীদের ভুলগুলো এবং যে ভুলের কারণে তাদের কোন আমলই ঊর্ধ্বমুখী হয়না তাদের নামাজ কবুল হয় না তা নিয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। নারীদের নামাজ কবুল হয় না বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।হয়তো আপনার বাসায় সেরকমই কেউ থাকতে পারে তাদের সতর্ক করুন।
যে দুই নারীর নামাজ কবুল হয় না তাদের মধ্যে এক নম্বর হলো সুগন্ধি ব্যবহার করে বাইরে গমনকারী মহিলা। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন সেই মহিলার নামায কবুল হয় না যে তার স্বামী ছাড়া অন্য কারো জন্য সেরা পারফিউম ব্যবহার করে এবং যতক্ষণ না সে নাপাক ব্যক্তির মত গোসল করে পবিত্র হয় ততক্ষণ তার নামাজ কবুল হবে না । হাদিস থেকে বোঝা যায় পর পুরুষের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার কারী নারীর নামাজ কবুল হবে না। অন্য আরেকটি হাদীসে রয়েছে হযরত আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন যে নারী সেন্ট ব্যবহার করে মসজিদে আসে, আল্লাহপাক তার নামাজ কবুল করেন যেমন একটি অপবিত্র ব্যক্তি অজু গোসল ছাড়া মসজিদে এসে নামাজ পড়লে তার নামাজ কবুল করেন।
আল্লাহ তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন তিন ব্যক্তির নামাজ কবুল হয় না এবং তাদের কোন আমল ঊর্ধ্বমুখী হয়না তার মধ্যে এক নম্বর হচ্ছে পলাতক গোলাম যতক্ষণ না সে মালিকের কাছে ফিরে আসে। দ্বিতীয় নম্বর হচ্ছে যে স্ত্রীর উপর স্বামী সন্তুষ্ট থাকে। তৃতীয় নম্বর হচ্ছে মাতাল যতক্ষণ না পর্যন্ত তার জ্ঞান ফিরে আসে। এ হাদীস থেকে বোঝা যায় যে স্ত্রীর ওপর শরীয়ত সম্পন্ন কারণে স্বামী অসন্তুষ্ট থাকে। এই স্বামীর অসন্তুষ্টি অবস্থায়ই নামায আদায় করলে নামায কবুল হয় না। কিছু কিছু আলেমদের মতে এই নামাজ কবুল না হওয়ার অর্থ হল পরিপূর্ণরূপে কবুল না হওয়ার। তবে মহিলাদের জন্য গুড নিউজ হলো হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন। কোন নারী যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে রমজান মাসে রোজা রাখে যৌনাঙ্গের পবিত্রতা রক্ষা করে স্বামীর নির্দেশ পালন করে তখন সে জান্নাতের দরজা দিয়ে প্রবেশ করুক। সুবাহানাল্লাহ।
সেই প্রেক্ষাপটেই প্রত্যেকটি নারীর উচিত তার স্বামীকে সন্তুষ্ট রাখা। আর কোন স্বামী যদি মনে করেন যে আপনি অসন্তুষ্ট হলেই আপনার স্ত্রী এই ক্ষতির সম্মুখীন হবে তা কিন্তু নয় এখানে শরীয়ত সম্মত থাকতে হবে । অনেক বদমেজাজি স্বামী রয়েছেন ছোটখাটো বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সাথে লেগে যান বা তার ওপর অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ে।মূলত আল্লাহর দৃষ্টিতে স্বামীর অসন্তুষ্টি পেছনে সুস্পষ্ট কারণ থাকতে হবে এবং সেটি যদি স্ত্রীর ভুলের কারণে হয় তখনই সেই স্ত্রীর ক্ষতিগ্রস্থ বা গুনাগার হবে । আল্লাহ রব্বুল আলামীন আমাদের প্রত্যেকটি মা-বোনকে এই দুইটি গুরুত্বপূর্ণ ভুল শুধরে নেয়ার এবং সতর্ক থাকার তৌফিক দান করুক। যাতে আমাদের প্রত্যেকেরই নামাজ এবং রোজা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে কবুল হয়ে যায় ।আমিন।